সিনিয়র রিপোর্টার মহিউদ্দিন তালুকদার নেত্রকোনা প্রতিনিধি : নেত্রকোনা সদর উপজেলার মারাদিঘী গ্রামের মো. মাহবুবুল ইসলাম পরশ ও তার স্ত্রী মুসলেহা অবৈধ পথে অর্থ উপার্জন করে বিলাসবহুল বাড়ি এবং ব্পিুল অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন। এ ব্যাপারে শনিবার দুপুরে নেত্রকোনা পৌর সভার কাটলী গ্রামে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান খানের বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সাংবাদিক সম্মেলন করেন মো. মাহবুবুর রহমান হিমেলসহ তিনজন। সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, মাহবুবুল ইসলাম পরশ একজন সাধারণ মানুষ। তিনি কিছুদিন আগেও স্থানীয় ভাই ভাই জর্দা কোম্পানীতে ম্যানেজার পদে চাকুরী করতেন। তিনি অল্প দিনের মধ্যে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তিনি এলাকার বিভিন্ন স্থানে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে জায়গা জমি কিনেছেন। এমনকি নেত্রকোনার বাইরে ঢাকা এবং অন্য জেলা শহরেও নামে বেনামে তার অনেক প্রপার্টি আছে। যার কোন বৈধ উৎস নেই। তার সম্পদের উৎস জানতে এবং সরকারের রাজস্ব দেওয়ার ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসিাবাদের আওতায় নেওয়ার জন্য মো: মাহবুবুর রহমান হিমেল, সাজ্জাদ ও শেখ সাহেদ গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারী জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। পরবর্তী সময়ে পরশ অসাধূ ব্যক্তির যোগসাজসে তাদের স্বাক্ষর জাল করে অভিযোগ প্রত্যাহার কাগজ সৃষ্টি করে দেখানো হয়। যা আদৌ সত্য নয়। এ ছাড়া মাহবুবুল ইসলাম পরশের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ এক বছর সময়েও এ ব্যাপারে কোন ফলাফল হয়নি। তদন্ত শুরুর আগেই অদৃশ্য শক্তির কারণে তদন্ত কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় মো. মাহাবুবুর রহমান হিমেল বাদী হয়ে সম্প্রতি মাহবুবুল ইসলাম পরশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। মামলা ও অভিযোগ করার পরশের লোকজন মাহাবুবুর রহমান ও অন্য দুইজন অভিযোগকারীকে প্রাণনাশের হুমকি সহ নানা ভয়ভীতি প্রদর্শণ করছে। এতে তারা নিরাপক্তাহীনতায় ভূগছেন। মো. মাহবুবুল ইসলাম পরশ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি বৈধভাবে কাজ করে সম্পত্তি করেছি। আমার বিরুদ্ধে ষঢ়যন্ত্র করা হচ্ছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। ওরা আমার কাছে চাঁদা দাবি করছে। চাঁদা না দেওয়ার আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করছে