— শামীম তালুকদার ঃ নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের মোবারক হোসেনের মেয়ে ফসলী কীটনাশক ঔষধ খেয়ে আত্মাহত্যা করে।সে কলমাকান্দা সরকারি ডিগ্রী কলেজের ২০২২ সালের এইচ এস সি পরীক্ষার্থী। ৮ ফেব্রুয়ারী প্রকাশিত এইচ এস সি পরীক্ষার রেজাল্ট কাংখিত না হওয়ায় কীটনাশক খেয়ে মারা যায় কুরশিয়া আক্তার (২০)। সে ছিল নম্র, ভদ্র, নামাজি, ৫ম শ্রেনীতে বৃত্তি সহ রংছাতি দাখিল মাদ্রাসার এসএসসি পরীক্ষায়৪.৮৬ পেয়ে উর্ত্তীণ হয় এবং এইচ এস সি তে ৩.৪২ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।পড়াশোনায় সে ভালো ছিলো।এইচ এস সি তে জি পি এ-৫ না পাওয়ায় দুপুর আনুমানিক ১টায় বিষ পান করে। ছাত্রীর বড় ভাই ইউনূস মাস্টার জানান,এমনটা করবে কখনো ভাবিনি, সে শান্তশিষ্ট প্রকৃতির মেয়ে। বড়ভাই হিসেবে কোন অভাব রাখিনি, বিশেষ করে পড়াশোনার ক্ষেত্রে। জমিতে বিষ দেওয়ার অবশিষ্টাংশ ঘরে এনে রেখেছিলাম। তিনি বলেন, কম নম্বর পেয়েছে বলেতো তাকে কিছু বলতাম না,পরীক্ষায় ফলাফল তো ভালো – মন্দ হতেই পারে। এখনো ভাবতে পারছেন না যে তার বোন মারা গেছে। ছাত্রীর মা বলেন, আমি রান্না ঘরে ছিলাম আমার মেয়ে আম্মা বলে চিৎকার দিতেই গিয়ে দেখি বিছানায় শুয়ে গড়াগড়ি করছে, আর বলছে আম্মা আমি বিষ খেয়ে মরে যাচ্ছি।আমি আর বাঁচবো না। এলাকাবাসী বলেন, তার মত এমন মেয়ে যে সব সময় নামাজ পড়ে, পর্দা করে চলাফেরা করে। কখনো খারাপ কিছু পাইনি। এমনটি আশা করিনি। কলমাকান্দা থানার ইনচার্জ আবুল কালাম জানান,সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে আসি এবং পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়ার জন্যেই সে কীটনাশক খেয়ে আত্মাহত্যা করে এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।