বিশেষ প্রতিনিধি ঃ নেত্রকোণা জেলা সদরের ৪ নং সিংহের বাংলা ইউনিয়নের ফরিদপুর পূর্বপাড়ার আঃ হেলিমের ছেলে সুমনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন রায়দুম রুহী গ্রামের মৃত হাছেন আলীর ছেলে আবুল বাশার। সুমন ‘সবুজ বাংলা সমবায় লিঃ” এর পরিচালক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির কর্মচারী। আবুল বাশার গত ৬ মার্চ নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক বরাবরে এক লিখিত অভিযোগ দেন সুমনের বিরুদ্ধে। তিনি অভিযোগে জানান,সবুজ বাংলা সমবায় লিঃ এর পরিচালক সুমনের নিকট থেকে তার পুত্র এনামুল ১৬,০০০/(ষোল হাজার টাকা) ঋণ গ্রহণ করে তার অগোচরে। হঠাৎ করে সুমন বাশারকে তার ছেলের এ ঋণের বিষয়ে জানায়।এ কথা শুনে বাশার তার ছেলেকে জিজ্ঞেস করলে সে এ ঋণের কথা স্বীকার করে ও জানায় ৬ কিস্তি সে পরিশোধ করেছে।কিন্ত এখন টাকা না থাকায় সে আর কিস্তি পরিশোধ করতে পারছে না
।সুমনের দাবী এখন সর্বসাকুল্যে সুদসহ ৪০,০০০/(চল্লিশ হাজার টাকা)। এত টাকা সুদের কথা শুনে হতদরিদ্র বাশার হতবাক হয়ে যায়।সে সুমনের নিকট সময় চায়।সুমন সময় তো দূরের কথা,তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের দলবদ্ধ ভাবে অনবরত হুমকী প্রদান করে। এমনকি তার ছোট ছেলেকে মারধোরও করে এবং বাশারের মুদী দোকানে তালাবদ্ধ করে দিবে বলে হুমকী দিতে থাকে।এমতাবস্হায় অপারগ হয়ে বাশার জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ প্রদান করেন। সুমন দলবদ্ধ ভাবে অনবরত হুমকী প্রদানের ফলে অসহায় বাশার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হৃদরোগ বিভাগে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।সুমনের ভয়ে তার পরিবারের লোকজন ভীত। সরেজমিন গেলে বাশার এবং এলাকার লোকজন জানান,সুমন নেত্রকোণা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে কর্মরত ।চাকুরির পাশাপাশি তিনি সুদের কারবারী ও অত্যাচারী।অনেক মানুষ তার সুদী কারবারে ঋণ গ্রহণ করে নিঃস্ব। ঋণগ্রহীতা ঋণের টাকা সুদসহ দিতে না পারলেই বিপদ,দলবদ্ধ ভাবে ঋণগ্রহীতা কে আক্রমণ করে।তাদের ভয়ে বহু লোক ঘরছাড়া। সবুজ বাংলা সমবায় লিঃ (গভ ঃরেজিঃ নং-নেত্র -১৫৭-২০১৮)সাইনবোর্ড লাগিয়ে অবৈধ অবাধ চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। যার আঞ্চলিক অফিস মায়ের দোয়া মার্কেট, প্রতাবপুর ঈদগাহ মাঠ, নেত্রকোণা সদর।এছাড়াও বাংলা ইউনিয়নের ময়মনসিংহ রুহী নতুন বাজারেও তাদের অফিস রয়েছে। সমবায় সমিতির নামে সে অবাধে চক্রবৃদ্ধি হারে দলবদ্ধ হারে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে সুদী কারবার চালিয়ে যাচ্ছে।ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি সুদ পরিশোধ করতে না পারলেই দলবদ্ধ ভাবে অত্যাচার শুরু করে এমন কথা জানায় এলাকার লোকজন।সুমনের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত ঋণগ্রস্ত লোকজন প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।