রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
Logo বিজিবির অভিযানে কোটি টাকার মদ, কসমেটিকস ও চোরাচালানী মালামাল জব্দ! Logo ময়মনসিংহে আন্ত কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন Logo ভাঙছে নদীর ঢেউ তাছলিমা আক্তার মুক্তা Logo চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়িয়ে বৈশ্বিক বিস্তার—এসএসসি ’৯১ ব্যাচ এখন আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে Logo যশোরের ঘিবা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ৪১ কেজি গাঁজা আটক করেছে বিজিবি Logo বিজিবির অভিযানে কোটি টাকার মদ, কসমেটিকস ও চোরাচালানী মালামাল জব্দ! Logo শেরপুরের শ্রীবরদীতে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় তালা ভেঙে পরীক্ষা নিলেন ইউএনও Logo নালিতাবাড়ীতে পাবলিক লাইব্রেরী উদ্বোধন Logo সাপাহারে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মীদের ৩য় দিনের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি Logo যশোরে বিজিবি’র অভিযানে ১ কেজি ১৬৪ গ্রামের ১০ পিস স্বর্ণেরবারসহ ২ যুবক আটক
বিজ্ঞাপন
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন ।  যোগাযোগঃ 01977306839

অভয়নগরে মাছের ঘের ভয়ভীতি দেখিয়ে জবরদখল করার অভিযোগ : রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা।

Reporter Name / ৭৬২ Time View
Update : রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০২৪, ১২:৫৭ অপরাহ্ণ

 মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার ভবদহ কলেজের এক প্রদর্শকের বিরুদ্ধে মনিরামপুর কপালিয়া গ্রামের একটি লিজকৃত মাছের ঘেরের মালিককে ভয়ভীতি দেখিয়ে জবরদখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।এতে করে লিজকৃত ওই মাছের ঘেরের মালিক বর্তমানে মাছের ঘেরে গিয়ে মাছ ধরা থেকে শুরু করে দেখভাল করতে পারছেন না। ভুক্তভোগী হলেন,নওয়াপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ তাজমিনুর রহমান (৫২)। স্থানীয়রা এমনটাই আশঙ্কা করছেন যে কোন সময়ে ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ।এর সমাধান চেয়ে তিনি মনিরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মৃত আনসার আলী মোল্যার ছেলে নওয়াপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ তাজমিনুর রহমান মনিরামপুর উপজেলার কপালিয়া মৌজার খতিয়ান ১৬৪৩ নং ৪৮৯৪হাল দাগের তপসিল ভুক্ত ১১৫ শতাংশ মাছের ঘের ১০বছর চুক্তিতে অনেক আগে থেকে লিজ নিয়ে মাছ চাষাবাদ করে আসছে। ওই মাছের ঘের প্রতি বছর ৩০হাজার টাকায় ১০বছরের জন্য তাকে লিজ প্রদান করে হোসেন আলী গাজী। লিজ পাওয়ার পর থেকে মাছের ঘেরে এ বছর প্রায় ৩ লাখ টাকার মাছ ছেড়ে দেন। লিজের মেয়াদ এখন্াে ৬ বছর বাকি আছে। কিন্তু ওই গ্রামের মৃত- আব্দুর রহমান সরদারের ছেলে উপজেলার ভবদহ কলেজের এক প্রদর্শক মামুন অর রশিদ খসরু, মৃত হোসেন আলী গাজীর ছেলে ইকবাল হোসেন ও দলিল উদ্দিন সরদারের ছেলে শরিফুল ইসলাম(৩৫) মৃত হোসেন আলী গাজীর ছেলে আলতাফ হোসেন নামের ৪জন ব্যক্তি পেশীবলের জোরে ভয়ভীতি দেখিয়ে মাছের ঘের জবর দখলের চেষ্টা করে আসছে।ওই মাছের ঘেরে মোঃ তাজমিনুর রহমানকে ৭/৭/২৪ তারিখ সকালে একা পেয়ে বিবাদীরে হাতে থাকা লাটি দিয়ে মারতে যায়। এবং ১০/১২ জন ঘের জবর দখল করার জন্য মাটি কেটে পাশে থাকা সাত্তারের ঘেরের সাথে মিলাই। ভুক্তভোগী বাধা দিতে গেলে মামুন অর রশিদ খসরু ,ইকবাল ও শরিফুল ইসলাম মোঃ তাজমিনুর ধরে ব্যাপক ভয়ভীতি দেখায়। এরপর ওই মাছের ঘেরে নাশকতা করে জোরপ‚র্বক নিজেদের ইচ্ছেমতো লক্ষাধিক টাকার চিংড়ি ও সাদা মাছ লুট নেন। এমনকি তাকে তার ঘেরের আশেপাশে যেতে দিচ্ছে না তারা। এমতাবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে তাজমিনুর রহমান। তাই যে কোন সময় মাছের ঘের দখল নিয়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। মোঃ তাজমিনুর রহমান বলেন, ওই ঘের লিজ নিয়ে র্দীঘ দিন খেয়ে আসছি। আমার এখনো ডিড চলমান আছে। লিজ পাওয়ার পর থেকে প্রদর্শক মামুন অর রশিদ খসরুসহ ওই ব্যক্তিরা জোরপ‚র্বক আমার মাছের ঘের জবরদখলের চেষ্টা করে আসছেন। সর্বক্ষণ তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। আমার মাছের ঘের থেকে ১ লাখ টাকার মাছ লুট করেছে। আমি বাধা দিতে গেলে।আমার উপর আক্রমণ করে। মাছের ঘের নিয়ে আমি এখন অসহায় হয়ে পড়েছি। নিয়ম মাফিক মাছের ঘেরের মাছগুলোর পরিচর্যা করতে না পারলে, মাছগুলো নষ্ট হয়ে যাবে।এই সমস্যার সমাধান চেয়ে আমি বুধবার বিকেলে নিজে বাদী হয়ে ওই ব্যক্তিদের নামে মনিরামপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমাকে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৩ উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণী শিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেন অভয়নগর উপজেলা প্রশাসন। তাই আশা রাখি কর্তৃপক্ষ অতিদ্রæত সমস্যার তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু সমাধান করে দিবেন। জমিদাতার ছেলে ইকবাল হোসেন বলেন, আমার পিতা হোসেন আলী গাজী নওয়াপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ তাজমিনুর রহমানের কাছে মাছের ঘের লিজ দেন। লিজ শেষ হলে আমরা তার কাছ থেকে ফেরত নিব। অভয়নগর উপজেলার ভবদহ কলেজের প্রদর্শক মামুন অর রশিদ খসরু বলেন, জমিদাতার কাছ থেকে ওই ঘের লিজ নিতে চাই। আমাকে ঘের লিজ দেওয়ার জন্য ইকবাল হোসেন বলেছে। তাই আমি মাটি কেটেছি। আমি মোঃ তাজমিনুর রহমানকে ভয়ভীতি দেখাইনি। তার মাছ লুট করিনি। নেহালপুর পুলিশ ক্যাম্পের আইসি এস আই আব্দুল হান্নান জানান, বিষয়টি সমাধান করার জন্য চেষ্ঠা করছি। মনিরামপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ মেহেদী মাসুদ বলেন,এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Design & Developed by : BD IT HOST