রনজিৎ সরকার রাজ , বীরগঞ্জ, (দিনাজপুর) প্রতিনিধি। দিনাজপুরের বীরগঞ্জ চৌধুরী হাট টিবিএম কলেজের প্রিন্সিপাল মোঃ লিয়াকত আলী কে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে সন্দেহ ভাজন মানসিক নির্যাতনে মৃত নৈশ্য প্রহরি আবু বক্করের স্বজনসহ বিক্ষুব্ধ জনতা। উপজেলা হাসপাতালের একটি কেবিনে ভর্তি অবস্থায় প্রিন্সিপাল বলেন উল্টো কথা, মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহিনুর রহমান চৌধুরী শাহীন পরিকল্পিতভাবে তার মদদ পুষ্ট আবু তাহের ও শুভ’র নেতৃত্বে ১০/১২ জনের দাঙ্গা বাহিনী দ্বারা অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে তাকে শারীরিক ভাবে আহত, প্রশাসনিক ভবনের দরজা, জানালা ও থাইগ্লাস ভাঙচুর করেছে। হামলাকারীরা অধ্যক্ষের ব্যবহৃত অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনটি ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। তাই তার ও প্রতিষ্ঠানের আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ লক্ষাধিক টাকা বলেও দাবি করেন। তারা মিথ্যাচার সহ ব্যপক অপপ্রচার শুরু করেছে, যা এতবড় সুনাম ধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ ও মানহানিক। অধ্যক্ষের বর্ণনার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে হাসপাতালে দেখতে আসা কলেজের কমপক্ষে ৫/৬ জন প্রভাষক (নারী পুরুষ) অধ্যক্ষ ও প্রতিষ্ঠানের উপর এমন নগ্ন হামলাকারীদের কঠোর সমালোচনা করে অবিলম্বে তাদের কে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অপর দিকে মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা শাহিনুর রহমান চৌধুরী শাহিন এবং স্থানীয়দের সাথে সরজমিনে গিয়ে কথা হলে জানা যায়, চৌধুরীহাট টিবিএম কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ লিয়াকত আলি সীমাহীন দুর্নীতিবাজ, স্বেচ্ছাচারী, কর্মচারীদের কে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনকারী, নিয়ম নীতির কোন তোয়াক্কা করেন না। তিনি গত দুই দিন হয় তার কলেজের নৈশ্য প্রহরী মৃত আবু বক্কর কে প্রকাশ্য জনসমুক্ষে হাট চান্দিনায় দাড়িয়ে রেখে গালমন্দ এবং চুরির অপবাদ দেন এবং কে জানালার গ্লাস ভেঙ্গেছে বের করার চাপ সহ তার বেতন বন্ধের হুমকি দেন। লজ্জা, ক্ষোভ এবং গভীর মানসিক চাপের দরুন আবু বক্কর তৎক্ষনাত হার্ট স্টোক করেন, তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য প্রথমে উপজেলা পরে জেলা শহর হাসপাতালে নিয়েও বাঁচানো সম্ভব হয় নাই। সংগত কারনে ১২ জানুয়ারি’২৫ রাতে নৈশ্য প্রহরীর মৃত্যু হয়। পরদিন ১৩ জানুয়ারি এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়, একপর্যায় বেলা ১২ টার দিকে মৃত্যু আবুবক্করের স্বজনেরা ও বিক্ষুব্ধ জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে টিবিএম কলেজে হামলা চালিয়ে ভাংচুর এবং অধ্যক্ষ লিয়াকত আলী কে লাঞ্ছিত করেছে। প্রিন্সিপাল নিজেকে নির্দোষ প্রমান করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তবে বারাবারি করলে পরিনাম ভয়াবহ হবে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয়রা।