নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশালে জেলা প্রশাসকের নাম ভাঙ্গীয়ে আদালতে মামলা চলাকালীন (বরিশাল ১ম জেলা জজ আদালত, দেং মোং নং- ১৭৫/২০১২, বর্তমান : ৪৩৩/২১ বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত) ওয়াকফ এষ্টেটের জমিতে (জাগুয়া ও রায়পাশা-কড়াপুর ভূমি অফিস) অবৈধ্যভাবে ভূমি লাইব্রেরি গড়ে তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, বরিশাল জেলা প্রশাসক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন’কে উদ্বোধক দেখিয়ে সড়কে ও গেটে ব্যানার টানিয়েছেন “বাংলাদেশ ভূমি অফিসার্স কল্যান সমিতি, বরিশাল জেলার ভূমি লাইব্রেরি” নতুন এই ভবনে। সাথে নতুন করে আরো উদ্বোধন করা হয় জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নতুন প্রতিকৃতি। তবে, জানাগেছে, গত শুক্রবার (১৭ মার্চ) দুপুরে ভূমি উদ্বোধক হিসাবে জেলা প্রশাসকের নাম থাকলেও তিনি না আসায় ভূমি লাইব্রেরী ও অফিসার্স কল্যান সমিতির সভাপতি মো: মিজানুর রহমান পান্না ও সাধারন সম্পাদক মো: মশিউর রহমান পল্টন জেলা প্রশাসকের অনুপুস্তিতিতেই নিজেরা নিজেরাই উদ্বোধন করেন। যা’নিয়ে সচেতন নগরবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শায়েস্তাবাদ ওয়াকফ এষ্টেটের মোতয়াল্লী সৈয়দ আকবর আলী চৌধুরী সংবাদকর্মীদের জানান, তিনি এর আগেও বিষয়টি নিয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক, বরিশাল ওয়াকফ উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয়ে ন্যায় বিচারের স্বার্থে পান্না ও পল্টন কতৃক কোন ধরনের অবৈধ ও বে-আইনী কর্মকান্ড দ্বারা যাতে আইনের শাসন বিঘ্নিত না হয় এবং এষ্টেটের জমিতে যাহাতে নিবির্ঘ্নে কাজ করতে পারি তার প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করেন। এষ্টেটের মোতয়াল্লী সৈয়দ আকবর আলী আরো বলেন, আমি গত ২০২১ সালের ১১ই মার্চ বরিশাল জেলা প্রশাসক বরাবর “জেলা প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরিশাল সদর” এর বরাতে বিরোধপূর্ণ জমিতে বে-আইনী ভাবে প্রবেশ করিয়া বিভিন্ন স্থাপনা বা ইমারত নির্মান কাজ বন্ধ রাখার বিষয়ে অবহিত করা হয়। এষ্টেটের মোতয়াল্লী সৈয়দ আকবর আলী চৌধুরী সেখানে উল্লখ করেন- বরিশাল সদররোডস্থ জাগুয়া ও রায়পাশা – কড়াপুর ইউনিয়ন তহশিল অফিসের ভূমি নিয়ে জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), সহকারী কমিশনার ভূমিসহ একাধিক ব্যাক্তিকে বিবাদী করে বিজ্ঞ ১ম যুগ্ন জেলা জজ আদালতে ১৭৫/১২ নং মোকাদ্দমা দায়ের করি। পরবর্তীতে মোকাদ্দমার বিষয় অবগত হওয়া সত্বেও আপনার বরাতে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা বে-আইনী ভাবে মোকাদ্দমার জমিতে অত্র আদালতের আদেশ অমান্য করে গত ২০১৩ সালের ২০মে দালান নির্মান করতে চাইলে আমি বিজ্ঞ আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করলে আদালত তৎকালীন জেলা প্রশাসক সহ সকলকে শোকজ করেন। আমি সে সময়ের জেলাপ্রশাসকের কাছে ২১/০৫/২০১৩ইং তারিখে বে-আইনী ও আদালতের আদেশ অমান্য করে যাতে নির্মান কাজ করতে না পারে তার জন্য লিখিত আবেদন করি। এদিকে আদালতে মামলা চলমান থাকা সত্বেও এষ্টেটের জমিতে অবৈধ্য প্রক্রিয়ায় জমিতে ভূমি অফিসার্স কল্যান সমিতি কতৃক ভূমি লাইব্রেরী করা ও উদ্বোধক হিসেবে নাম রাখার বিষয়ে বাংলাদেম ভূমি অফিসার্স কল্যান সমিতির সাধারন সম্পাদক মশিউর রহমান পল্টন’য়ের নাম্বারে (০১৭১২-….. ৩৩৯) ফোন করা হলে নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।